ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫ , ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
অবশেষে মামলা নিয়ে মুখ খুললেন যশ দয়াল ফাঁস হলো আর্জেন্টিনার ২০২৬ বিশ্বকাপের জার্সি! ফ্লুমিনেন্সকে কাঁদিয়ে ফাইনালে চেলসি ইনজুরিতে টি-টোয়েন্টি দল থেকে ছিটকে গেলেন হাসারাঙ্গা টিভি স্বত্ব বিক্রি করতে পারছে না বিসিবি টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশায় আজ মাঠে নামবে টাইগাররা বৈষম্য নিরসনে ৮ দফা বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর অব্যাহতি বেআইনি চুন্নু এখনো মহাসচিব-আনিসুল নওগাঁর পোরশায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ইউপি মেম্বার মৃত্যু ৬ দাবিতে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ কয়েকটি সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার রায় প্রকাশ রাজধানীতে মহা-শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপোতে সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট ১১৯ বার পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন সাংবাদিক দম্পতি শাকিল-রুপার গ্রেফতারের বিষয়ে জাতিসংঘকে ব্যাখ্যা দিল সরকার ডেঙ্গুতে আক্রান্ত আরও ৩ মৃত্যু ৪২৫ হাসপাতালে ভর্তি দুই শতাধিক এনবিআর কর্মকর্তার ক্ষমা প্রার্থনা শৃঙ্খলায় ফেরার ইঙ্গিত ৩ দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করছে সরকার-উপদেষ্টা

বৈষম্য নিরসনে ৮ দফা বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর

  • আপলোড সময় : ০৯-০৭-২০২৫ ০৭:১১:২১ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৯-০৭-২০২৫ ০৭:১১:২১ অপরাহ্ন
বৈষম্য নিরসনে  ৮ দফা বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর
বৈষম্য নিরসন ও বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়াসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি। এসময় তারা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশের সংবিধানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের সমান অধিকারের স্বীকৃতি থাকলেও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া বড়ুয়া জনগোষ্ঠী নানা রকম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। দাবি না মানা হলে রাষ্ট্রীয় সংবিধানের অধীনে গণতান্ত্রিক পন্থায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণার কথাও জানায় সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব নাগরিকের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক অধিকার সমুন্নত এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা এবং সব নাগরিকের স্ব-স্ব অধিকার সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক জাতীয় কমিটি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার অধিবাসীদের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সম্মিলিতভাবে ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর চুক্তি করা হয়। তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তি বা শান্তি চুক্তির পরেও ২৭ বছর ধরে পাহাড়ের বাঙ্গালিরা (মুসলমান, হিন্দু ও বড়ুয়া) চরমভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সদস্য ব্যতীত মুসলমান, বড়ুয়া, হিন্দু, তনচঙ্গা, সাঁওতাল, অহমিয়া, গুরখা, কুকি, পাংখোয়া, লুসাই (মিজু), চাক, খুমি, খিয়াং ও ম্রো জনগোষ্ঠীর সদস্যদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে। এই চুক্তিতে রাঙামাটি চাকমা, খাগড়াছড়ি ত্রিপুরা ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা মারমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের তিনটি উপজাতি জনগোষ্ঠীকে এককভাবে সুবিধা করে দিয়েছে। চুক্তির পর বিভিন্ন কমিটি, বোর্ড, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটি, আঞ্চলিক পরিষদ, জনগোষ্ঠী প্রতিনিধি গঠন করা হলেও এসব কমিটিতে এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে রাখা হয়নি বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর কোন প্রতিনিধি। বিগত স্বৈরাচারের শাসনকালীন ১৭ বছর ধরে পাহাড়ে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর কিছু পদলেহনকারী স্বঘোষিত নেতার কারণে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে কথা বলা সুযোগ পর্যন্ত ছিল না। নির্মল বড়ুয়া মিলন বলেন, ৫ আগস্টে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পার্বত্যবাসীর প্রত্যাশা ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের শিকার বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যরা ও বাঙালিদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু বর্তমান বৈষম্যবিরোধী চেতনাকে ধারণ করা অন্তর্বর্তী সরকার নতুনভাবে গঠিত তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে আগের ন্যায় বৈষম্য অব্যাহত রয়েছে। সংগঠনের ৮ দফা দাবি:
১। পার্বত্য চুক্তিটি সংশোধনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।
২। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সংসদীয় কমিটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মূল্যায়ন কমিটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহায়তাকারী উপদেষ্টা কমিটি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ কমিটি, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বোর্ড সভায়, তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসনে আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে, তিন পার্বত্য জেলার ২৬টি উপজেলা প্রশাসনে আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে, তিন পার্বত্য জেলার পৌরসভার শহর উন্নয়ন কমিটিতে বিশেষ বিবেচনায় বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।
৩। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর শুমারির তথ্যে অধ্যায় ৩ রাঙামাটি জেলার শুমারির ফলাফল ৩.১.৪ এর ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা ছকে বা খানায় বৌদ্ধ বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যদের পরিচিতি আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়নি। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এ শুমারি সম্পর্কিত অধিকতর তথ্য-উপাত্ত আলাদাভাবে ছকে বা খানায় বৌদ্ধ ‘বড়ুয়া’ জনগোষ্ঠীর পরিচিতি সংযুক্ত করা।
৪। রাষ্ট্রীয়ভাবে বৌদ্ধ ‘বড়ুয়া’ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা বৈষম্যের শিকার বিধায় তিন পার্বত্য জেলা বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে সংসদ সদস্য পদ সংরক্ষিত করে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিকে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ করে দেওয়া।
৫। বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা থেকে বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করা।
৬। ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বসবাসরত অন্য সব জনগোষ্ঠীর ন্যায় বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীদের এবং সদস্যদের সব সরকারি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া।
৭। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী জাতীয় দিবস এবং শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের বসবাসরত বড়ুয়া জনগোষ্ঠীর সদস্যদের নিজস্ব সংগঠনের মাধ্যমে উল্লেখিত দিবসে আমন্ত্রণ জানানো।
৮। বৈষম্য বিলোপ কমিশন গঠন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি ডা. বাদল বরণ বড়ুয়া, প্রধান উপদেষ্টা ভদন্ত অদিতানন্দ মহাথোরো, কেন্দ্রীয় সংগঠক ত্রিদিব বড়ুয়া টিপু, শিক্ষক প্রকাশ কুসুম বড়ুয়া, জেলা সংগঠক নিপ্পন বড়ুয়া, জুয়েল বড়ুয়াসহ প্রমুখ।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
রাজধানীতে মহা-শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত

রাজধানীতে মহা-শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত